সিলেটের চাকরির খবর বিনোদন ডেস্ক :- বলিউড তারকা অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু মেনে নিতে পারছে না তার ভক্ত অনুরাগীরা। তার এমন মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন তারাও।গত রোববার নিজের ঘরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলিউডের অন্যতম দক্ষ অভিনেতা । প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, বহুদিন ধরে অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। সুশান্তের মৃত্যু অনেককেই মনে করিয়ে দিয়েছে জিয়া খানের কথা। ২০১৩ সালে নিজের ঘরে আত্মহত্যা করেছিলেন বলিউডের এই অভিনেত্রী।
সম্প্রতি একটি ভিডিওর মাধ্যমে জিয়া খানের মা জানিয়েছেন, সুশান্তের পরিবারের উপর দিয়ে এই মুহূর্তে কী প্রবল যন্ত্রণা যাচ্ছে তা তিনি অনুভব করতে পারছেন। জিয়া খানের আত্মহত্যার পরে অভিযোগ উঠেছিল আদিত্য পাঞ্চোলির ছেলে সূরজ পাঞ্চোলির বিরুদ্ধে।বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম থেকে সেই সময় জানা গিয়েছিল সূরজের সন্তানের মা হতে চলেছেন জিয়া। কিন্তু সূরজ জিয়াকে গর্ভপাত করাতে বাধ্য করেছিলেন যার ফলে তার প্রবল রক্তক্ষরণ হয়েছিল। এর পরেই তিনি সিদ্ধান্ত নেন আত্মঘাতী হওয়ার। সুশান্তের মৃত্যু যেন সেই স্মৃতিকে জিয়ার মা রাবিয়ার সামনে এনে দিয়েছে।
জিয়া খানের মা বলছেন, এ শোক যাবে না। এ অভাবও মিটবে না। আমি ভুক্তভোগী। তাই সুশান্তের পরিবারের সবার মনে কী ঝড় চলছে বুঝতে পারছি। কী ভাষায় সমবেদনা জানাবো, বুঝতে পারছি না। সুশান্তের আত্মহত্যার পিছনে অনেকেই দায়ী করছেন বলিউডের রাঘব বোয়ালদের। সেই তালিকায় করন জোহরের সঙ্গে রয়েছেন বলিউডের খান ও কাপুররা। বিশেষ করে সালমন খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছেন অনেকেই। জিয়ার মাও তার মেয়ের মৃত্যুর জন্য সালমন খানকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন।
তার অভিযোগ সূরজ পাঞ্চোলিকে সলমন খান সেই সময় বাঁচিয়েছিলেন। রাবিয়া বলছেন, সিবিআই ডেকে পাঠিয়ে শীঘ্র আসতে বলেছিল। বিরাট বড় সূত্র মিলেছিল নাকি। খবর পেয়ে ছুটে যেতেই গোয়েন্দা সংস্থার গলায় সুর বদলে যায়। জানা যায়, সালমন খান নাকি চাপ দিচ্ছেন তদন্ত বন্ধের। জানিয়েছেন, তার ‘সাথিয়া’ ছবির নায়ক সূরজ।
ছবির পেছনে প্রচুর অর্থ ব্যয় করেছেন। এখন এসব হলে তিনি লোকসানের মুখে পড়বেন। তারা যেন তদন্ত তুলে নেয়। দরকারে যা লাগবে তিনি দেবেন। রাবিয়ার এই মন্তব্যই আরো একবার সালমন খানকে অভিযোগের সামনে এনে দাঁড় করিয়েছে।
বলিউডের নেপোটিজম এর জন্যই সুশান্ত সিং রাজপুত নাকি অবসাদে চলে গিয়েছিলেন। যদিও তার কাছ থেকে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। পরিবারের থেকে এদিকে অভিযোগ উঠেছে, সুশান্ত আত্মহত্যা করেননি। তাকে খুন করা হয়েছে। তবে সত্যিটা কী সেটা জানার জন্য তদন্ত করছে মুম্বাই পুলিশ।
সিলেটের চাকরির খবর / তানজিনা বেগম
আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর মনিটরিং করার জন্য এটা ব্যবহার করতে পারেন, এটি গুগল এনালাইটিক এর মত কাজ করে।