সৈয়দ সাইফুল ইসলাম নাহেদ
যদি বেকারত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলতে হয়, জানি এক লক্ষ কোটি তরুণ তরুণীই বলবেন আমি ও তাে বেকার! যার কোন আকার নেই, বইয়ের ভাষায় তিনিই বেকার! তবে সামাজিক ভাষায় যার কর্ম নেই, তিনিই বেকার! দেশে শিক্ষিতের যেমন অভাব নেই, বেকারের ও অভাব নেই! কিন্তু কারা বেকার? কেনই বা তারা বেকার? তাদের কি কর্মসংস্থান নেই? নাকি যােগ্যতার অভাব? নাকি তারা কর্ম সংস্থান। থাকা সত্ত্বেও ভয়ে কর্মের সন্ধান করতে যান না? এগুলাে হয়তাে আমার চাইতে আপনাদেরই ভালাে জানার কথা! যাই হােক কথা বাড়িয়ে লাভ নেই আসল কথা হলাে বেকারত্বের অভিশাপ কি করে গােছানাে যায় সেই দিকে নজর দেয়া একান্ত জরুরী।
বেঁচে থাকা, এবং জীবিকা নির্বাহের জন্য টাকার একান্ত প্রয়ােজন। সেই টাকার জোগানের। জন্য প্রয়ােজন কাজ, চাকরির। দেশে কর্ম সংস্থান থাকলে ও তেমন কোন সুযােগ হয়না অনেক তরুনীর। অনেকের অভিযােগ তারা কর্মের খোঁজে অনেক অফিস ই ছুটে বেড়িয়েছেন, চাকরি তাে পান নি উলটো শুনেছেন কটুকথা। তাছাড়া অনেকের অভিযােগ চাকরি পেতে টাকার। প্রয়ােজন সেই টাকা তাদের নেই তাই তারা চাকরি করতে আগ্রহী নন। বিশেষ করে সরকারী চাকরির ক্ষেত্রে। ওটা যেনাে সােনার হরিণ! যাই হােক এমন করে তাে আর জীবন জীবিকা চলে না তাই এবার বেসরকারী চমক প্রদ বিজ্ঞাপনের ফাদে পরে বাকী যে টুকু আছে তা ও হারানাের পথে। কারন বেশীর ভাগ বিজ্ঞাপনই ধোঁকা। এখন একটাই পথ বাকী আর তা হলাে আত্ব নির্ভর কর্মসংস্থান! প্রশ্ন হলাে সেটা তে ও তাে আগে অর্থের প্রয়ােজন।
তবে কি করে আপনি বেকারত্ব দূর করবেন? কে জেনাে বলেছিলাে লাইন গাড় ছাড়া কেউই সফলতার মুখ দেখে নি,তবে কে দেখাবেন সফলতার মুখ? সমাজের অনেকেই আছেন ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান খুলে বসে আছেন, তাদের একটু সহায়তাই পারে দারিদ্রমুক্ত, বেকারমুক্ত সমাজ গড়তে সর্বাত্তক ভূমিকা রাখবে। আরাে ভালাে হয় যদি সেই সব লােকেরা নিজের উদ্যোগে, নিজের এলাকায় শিল্পকারখানা, হাসপাতাল, বেসরকারী স্কুল কলেজ, যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র কিংবা ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান গড়ে তােলে। এক দিকে যেমন সেই উদ্যোক্তা লাভবান হবেন, অন্যদিকে দেশের একটা বিপুল পরিমান বেকার কর্মসংস্থানের সুযােগ পাবে। নয়তাে সেই বেকার যুব সমাজ জড়িয়ে পড়বে নেশা, জুয়া, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, এমন কি নানা সামাজিক অসংগতি মূলক কাজে। সমাজে সচেতন মানুষের অভাব নেই কিন্তু সচেতন বিবেকের বড়ই অভাব! তাই সচেতন মানুষদের উচিত বেকারত্ত নিয়ে এগিয়ে আসা। গ্রামের প্রত্যেক অঞ্চল থেকে।
যদি কোন কর্ম সংস্থান মূলক এমন কর্ম শুরু করে তবে অবশ্যই একদিন দেশ থেকে একটা বিপুল পরিমান বেকারত্ব হৃাস পাবে। আর যদি কেউ এমন উদ্যোগ না নেয় তবে ওই যুব সমাজ যে একদিন এক রে হারিয়ে যাবে না তা কে বলবে? তাই তরুন তরুনকে আহ্বান জানাবাে আসুন আমরা সবাই মিলে একত্রিত হয়ে। কাজ করি, বেকারত্বের অভিশাপ থেকে সমাজ কে মুক্ত করি। সরকারে ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের দিকে না তাকিয়ে নিজেই অত্মনির্ভর হতে হবে। সরকারীর চাকরির ক্ষেত্রে অনেক তরুন তরুনী আর্থিক লেনদেন করে থাকেন যা ফলে ধােকা খেয়ে তারা মানসিকভাবে ভেঙ্গে পরে। তাই এসব অনৈতিক কাজে না জরানাে ভালাে। অনেকেই বলেন সরকারী চাকরি পেতে অর্থ ও মামা চাচা জোর লাগে। আপনার দক্ষতাই আপনাকে আপনার চাকরির ক্ষেত্রে সফলতা এনে দেবে । নিজে সাবলম্বী হতেই সামাজিক বনায়ন, পােস্ট্রি ফার্ম, মাছ চাষ, খামার গড়ে তুলতে হবে। একদিকে যেমন আপনি আত্বনির্ভরশীল হবেন অন্য দিকে অনেক তরুন তরুনী আপনার প্রতিষ্ঠানে চাকরির পায় তাদের বেকারত্ব দূর হবে। জীবনে। সফলতা পেতে হলে পরিশ্রম করতে হবে। কথায় আছে পরিশ্রম সৌভাগ্যের চাবিকাঠি। কোন পেশাকে ছােট করে দেখা যাবে না। কবির ভাষায় আছে ছােট ছােট বিন্দু থেকে একদিন সমুদ্রে পরিণত হবে। তাই ছােট প্রতিষ্ঠান থেকে আপনি একদিন বড় প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবেন। জীবনে চলার পথে হতাশ হলে চলবে না। শক্ত হাতে জীবনের বীত গড়তে হবে।
সৈয়দা তানিশা
আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর মনিটরিং করার জন্য এটা ব্যবহার করতে পারেন, এটি গুগল এনালাইটিক এর মত কাজ করে।