গতকাল সোমবার (২০) মে সন্ধ্যায় উপজেলার পোগলা ইউনিয়নের কুতিগাও গ্রামের ফজলুল হকের স্ত্রী’ শিখা আক্তার ওরফে শিল্পী (৩৬) এর ওপর এই নির্মম নির্যাতনের মত এমন ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী শিল্পী আক্তার ও তার পরিবার জানায়, তারই ননদ রেশমা ও তার স্বামী নয়ন মিয়া(২৬),কাজল ও সাজলসহ ওরা কয়েকজন মিলে আমি নামাজরত অবস্থায় ঘরে ডুকে আমাকে এলোপাতাড়ি পিটাতে থাকে! আমি চিৎকার করতে চাইলে আমার মুখ বেঁধে ফেলে, তখন আর চিৎকার করতে পারছিলাম না,তখন আমি গুঙিয়ে গুঙিয়ে কাঁদতে থাকি, এমতাবস্থায় আমার মাথার চুলের মুটি ধরে টেনে হিচড়ে পৈশাচিক উল্লাসে ওরা আমার পড়নের কাপড় খুলে মাথার চুল কেটে ঘরের ভেতরেই বিকৃত উল্লাসে অট্টহাসিতে মেতে ওঠে। তাদেরই চেচামেচিতে আশপাশের প্রতিবেশীরা দৌড়ে এসে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এ ধরনের নির্মম নির্ষাতন কেন করা হল জানতে চাইলে বাদী শিল্পীর স্বামী ফজলুল হক জানান,আমার বোন রেশমার প্রেম গঠিত বিয়ে নয়নের সাথে মেনে না নেওয়ার কারণে আমি বাড়িতে না থাকার সুযোগে এমন অবস্থা করেছে আমার স্ত্রীর।
ভুক্তভোগী শিল্পীর পিতা আব্দুল কুদ্দুস জানান, আমার মেয়েকে খালিঘরে একা পেয়ে এমন নির্মম অপমান অপদস্ত করে মেরেছে আমি এর বিচার চাই, আমি আইনের আশ্রয় নেবো, অভিযোগ দেবো ওদের বিরুদ্ধে। অপরদিকে নয়ন মিয়া ও রেশমার শশুর জালাল মিয়া বলেন, এ ঘটনার কিচ্ছু জানিনা, আমি বাড়িতে ছিলাম না তখন।
এ বিষয়ে কলমাকান্দা হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক সৌরভ ঘোষ বলেন, স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসলে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর আমরা ভর্তি নেই। বর্তমান চিকিৎসাধীন রয়েছে হাসপাতালে, কিন্তু দেখা গেছে তার মাথাসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি লুৎফুল হক জানান, আমরা অভিযোগ পেয়েছি, এই নির্মম ঘটনার তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।।