এক ঘন্টার অবস্থান কর্মসূচীতের বক্তারা বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে ফটোসেশন উপেক্ষা করে বাস্তবভিত্তিক কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। সিন্ডিকেটবাজ, অধিক মজুদদার ও অসাধু ব্যবসায়ীকে জরিমানা না করে আইনের আওতায় এনে বিচারের সম্মুখীন করে কারাগারে প্রেরণ করা হউক। অধিক লাভের আশায় যারা সাধারণ জনগণকে চরম বিপদে ফেলে টাকা উপার্জনের চেষ্টা করছে এদেরকে জরিমানা নয় জেল হাজতে পাঠাতে হবে। আগামী ১৪ দিনের মধ্যে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতিনিয়ন্ত্রণে প্রশাসন ব্যর্থ হলে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ১০ মিনিট শোয়া কর্মসূচী পালন করা হবে।
জাতীয় যুব দিবস-২০১০ এ জাতীয় যুব পুরস্কার শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠক পদকপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সিলেট কল্যাণ সংস্থার কার্যকরী কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ এহছানুল হক তাহেরের সভাপতিত্বে ও সিবিযুকস’র বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন রশিদ চৌধুরীর পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, সিবিযুকস’র সিলেট মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম শিতাব। অবস্থান কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন, মহানগরীর সামাজিক আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব বাংলাদেশী প্রবাসী নেতা মোঃ আমিনুল ইসলাম ডিনেস, যুবনেত্রী কল্পনা আক্তার, সিবিযুকস’র বিভাগীয় কমিটির সহ-সভাপতি আব্দুস সোবহান আজাদ, সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ রুয়েল আহমদ বক্ত তুষার, সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি আব্দুর রহমান, সিলেট মহানগর কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ ইব্রাহীম, মোঃ নুর হোসেন, সচেতন নাগরিক ও সাংগঠনিক যুব নেতৃবৃন্দদের পক্ষ থেকে অবস্থান কর্মসূচী ও স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন মোঃ সজিব আহমদ, মোঃ ইব্রাহিম মিয়া, মোঃ খালেদুর রহমান, আতাউর রহমান, সাংবাদিক মোঃ আজমল আলী, নেছার আহমদ নেছার, দিলীপ কুমার বর্মন, রাধিকা রঞ্জন পাল ছাবুল, জাকারিয়া মোহাম্মদ সালাউদ্দিন সাকের, আবুল কাশেম, হাসান আহমদ, রায়হান ইসলাম সাগর, চাঁদনি বেগম, রুপা আক্তার, আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাগর আহমদ, তানভীর আহমদ, নাঈম আহমেদ ও সাংবাদিক মেহেদী হাছান অপূর্ব।
স্মারকলিপির বিষয়বস্তুঃ ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট থেকে বাংলাদেশের নতুনভাবে পথচলা শুরু হয়। ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের জন্য হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্র ও সার্বজনীন শান্তি আবার ফিরে পেয়েছে বাংলাদেশ। সেই শান্তিকে অস্থিতিশীল করতে একটি কুচক্রীমহল সবসময়ই অপচেষ্টায় লিপ্ত। এই কুচক্রীরা বর্তমানে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যের বাজারকে অস্থিতিশীল করার পায়তারায় ব্যস্থ। এদেরকে প্রতিহত করতে সর্বস্তরের ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ, দখলবাজ, সিন্ডিকেটবাজ, পণ্যের অনাকাঙ্খিত মজুদদার ও অধিক মুনাফাখোরদেরকে রাষ্ট্রদ্রোহী হিসেবে ঘোষনার দাবি জানাই। সাধারণ মানুষের আয়ের সাথে বর্তমানে ব্যয়ের কোনো সামঞ্জস্য নেই। মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের প্রতি মাসে প্রায় ১০/১২ দিন খুবই কষ্টে দিন অতিবাহিত করতে হয়। ৩/৪ বছর ধরে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য লাগামহীনভাবে বেড়ে চলছে। কিন্তু ৪ বছরে সাধারণ যেকোন ব্যাক্তির আয় ৪-৫ গুন বৃদ্ধি হয়নি। তবে নিত্য পণ্যের মূল্য ধারাবাহিকভাবে বেড়েই চলছে। প্রতিদিন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম যেভাবে বাড়ছে, তাতে সবধরনের পণ্যক্রয় করা সাধারণ মানুষের ক্ষমতার বাহিরে চলে গেছে। এমনিতেই প্রতিটি পণ্যের মূল্যই বিগত সময়ে দ্বিগুণ-তিনগুনের মাত্রা ছাড়িয়েছে। বর্তমানে বিভিন্ন অযুহাতে সিন্ডিকেটবাজ, মাত্রাতিরিক্ত, মুনাফাখোর ও অসাধু ব্যবসায়ীরা প্রতিদিনই পণ্যের মূল্য বাড়িয়ে দিচ্ছে। এভাবে পণ্যের মূল্য বাড়তে থাকলে দেশের মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তসহ গরীব মানুষেরা অসহায় হয়ে পড়বে। যাঁর কারণে দেশ, সংকট ও বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে পারে। বিশেষ করে খাদ্যদ্রব্য, ঔষধ ও শিক্ষা সামগ্রীর মূল্য প্রতিদিনই বেড়ে চলছে। জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে এনে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় সবধরনের দ্রব্যমুল্যের উর্ধ্বগতি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আপনার সুচিন্তিত পদক্ষেপ নিতে আমরা সিলেটবাসী সহ বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ আশা করছি। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ করতে হলে সিন্ডিকেটবাজ, মজুতদার, অসাধু ব্যবসায়ী ও অধিক মুনাফাখোরদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা খুবই প্রয়োজন। পাশাপাশি সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, জেলা শহর, উপজেলা শহর সহ সবজায়গায় নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয়ে প্রতিটি পাইকারী ও খুচরা বিক্রয়কেন্দ্রে মূল্য তালিকা টাঙ্গানোর ব্যবস্থা করা জরুরী। তাতে সাধারণ জনগন মূল্য তালিকা দেখে সহজে পণ্য ক্রয় করতে পারবেন।
আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর মনিটরিং করার জন্য এটা ব্যবহার করতে পারেন, এটি গুগল এনালাইটিক এর মত কাজ করে।