মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে সদর উপজেলা বল্লমঝাড় ইউনিয়নের কোমরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আব্দুল্লাহ আল নোমান কোমরপুর গ্রামের মো. জিল্লুর রহমান মন্ডলের বড় ছেলে। নোমান সাদুল্লাপুর সরকারি ডিগ্রী কলেজের (বিজ্ঞান) বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর একটি কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে নিজের ফলাফল দেখে নোমান। ফলাফলে পর্দাথ বিজ্ঞানের এক বিষয়ে ফেল করার বিষয়টি জানতে পারে। এরপরই বাড়িতে এসে একটি ফাঁকা ঘরে গলায় ফাঁস দেয় নোমান। ঘটনার সময় নোমানের মা কিস্তি দিতে বাড়ির বাইরে যায়। এসময় তার বাবাও বাড়িতে ছিলেন না।
কিছুক্ষণ পরে বাবা ও মা বাড়িতে এসে নোমানকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পায়। তাৎক্ষণিক আশপাশের লোকজনের সহায়তায় নোমানকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিনুর ইসলাম তালুকদার জানান, ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে গলায় বৈদ্যুতিক তার পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে শিক্ষার্থী নোমান। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা হয়েছে। সুরতহাল তৈরির পর যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর মনিটরিং করার জন্য এটা ব্যবহার করতে পারেন, এটি গুগল এনালাইটিক এর মত কাজ করে।