শনিবার (২৬ অক্টোবর) রাত ১টার দিকে বছিলায় সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ২৩ ইস্ট বেঙ্গলের উপ-অধিনায়ক মেজর নাজিম আহমেদ।
এর আগে মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযানে নেমে ৪৫ জনকে গ্রেফতার করে যৌথবাহিনী। অভিযানে মোহাম্মদপুরের একটি দোকানে ডাকাতির ঘটনায় মুলহোতা আসলামকে আটক করা হয়। এছাড়াও ঢাকা উদ্যান এলাকায় পথচারীদের ওপর হামলা চালিয়ে ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত সন্দেহসহ আরও নানা অপরাধ দমনে অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সেনাবাহিনী জানায়, যৌথবাহিনীর ধারাবাহিক অভিযানে এখন পর্যন্ত ১৮টি আগ্নেয়ান্ত্র, ২৬২ রাউন্ড গুলি, মাদক ও একটি গ্রেনেড উদ্ধার হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে মেজর নাজিম আহমেদ বলেন, মোহাম্মদপুরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রোববার থেকে বিভিন্ন হাউজিং এলাকায় অস্থায়ী ক্যাম্প করা হবে। দু-তিনটি হাউজিং এলাকার মধ্যে একটি করে এমন অস্থায়ী ক্যাম্প তৈরি করা হবে যেখান থেকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা পুরো এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করবেন।
মোহাম্মদপুরে ২৭-২৮টি কিশোর গ্যাংয়ের সন্ধান পাওয়া গেছে উল্লেখ করে মেজর নাজিম বলেন, এরমধ্যে জেনেভা ক্যাম্পেই প্রায় ৩০-৪০ শতাংশ রয়েছে। যাদের আটক করেছি, তাদের মধ্যে ১৫ থেকে ১৬ জন গডফাদার বা লিডারকে আমরা ধরেছি। এদের সবাই চাঁদাবাজি, ডাকাতি করতেন। অফিসগামী মানুষ ও শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ তাদের দ্বারা ভুক্তভোগী।
সেনাবাহিনীর এ অভিযানের সঙ্গে র্যাব ও পুলিশের সদস্যরা ছিলেন এবং গ্রেফতারদের থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলেও জানান সেনাবাহিনীর এ কর্মকর্তা।
আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর মনিটরিং করার জন্য এটা ব্যবহার করতে পারেন, এটি গুগল এনালাইটিক এর মত কাজ করে।