প্রশাসন ও শিক্ষকদের পক্ষ থেকে আলোচনার চেষ্টা করা হলেও, দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এতে থমকে গেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম।
গত বৃহস্পতিবার নতুন শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়ে ছাত্রদলের টানানো দুইটি ব্যানার ছিড়ে ফেলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় কিছু বহিরাগত এতে যোগ দেয় বলে অভিযোগ ওঠে। এতে প্রক্টোরসহ মোট ১০ জন আহত হন। এ ঘটনার পর থেকেই প্রশাসনের উপর দায় চাপিয়ে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করে আসছে শিক্ষার্থীর।
৮ দফা দাবি আদায়ে রবিবার প্রশাসনিক ভবনের তালা দেয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা। গতকাল সমস্যা সমাধানে ৩০ সদস্যের শিক্ষার্থী দলে সাথে আলোচনা করা হলেও তা ফলপ্রসূ হয়নি। এমন অবস্থায় আজ আবারও প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, তাদেরকে হুমকি ধামকি দেওয়া হচ্ছে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের কথা বলা হচ্ছে। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগসহ ৮ দফা দাবি নাম মানা পর্যন্ত আমরা আন্দোলন করবো। আমরা সব একাডেমি কার্যক্রম বর্জন অব্যাহত থাকবে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে বলা হচ্ছে সংকট নিরসনে কাজ করছে তারা। উদ্ভূত পরিস্থিতি সমাধানে তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোজাম্মেল হক জানান, গতকাল ৩০ সদস্যের শিক্ষার্থী দলের সাথে দীর্ঘ আলোচনায় হয়েছিলো। তাদের দাবিগুলো শুনেছি আমরা। দাবি বাস্তবায়নে ভাইস চ্যান্সেলর এক সপ্তাহের সময় চেয়েছিলেন। কিন্তু শিক্ষার্থীরা তা মানছেন না। আমরা তাদের সাথে আলোচনা করতে রাজি আছি।
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ডিপার্টমেন্ট অফ পোল্ট্রি সাইন্সের প্রফেসর ড. এম রাশেদ হাসনাত জানান, শিক্ষার্থীদের কোন ধরনের হুমকি ধামকি দেওয়া হয়নি। আমরা এসেছি তাদের জন্য। শিক্ষার্থীরা আমাদের সন্তানের মতো। শিক্ষকদের পক্ষ থেকে কয়েকবার তাদের সাথে আলোচনার চেষ্টা করা হলেও তা ফলপ্রসূ হয়নি।
আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর মনিটরিং করার জন্য এটা ব্যবহার করতে পারেন, এটি গুগল এনালাইটিক এর মত কাজ করে।