স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনের তথ্যমতে, চলতি সপ্তাহে (২৬ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর) ডেঙ্গুতে ৩১ জনের মৃত্যু এবং সাত হাজার ১৯৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
গত সাত দিনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২৬ অক্টোবর ডেঙ্গুতে দুইজন মৃত্যু এবং ৬৬১ জন হাসপাতালে, ২৭ অক্টোবর ছয়জনের মৃত্যু এবং এক হাজার ২৪৮ জন হাসপাতালে, ২৮ অক্টোবর তিনজনের মৃত্যু এবং এক হাজার ১৯৭ জন হাসপাতালে, ২৯ অক্টোবর ছয়জনের মৃত্যু এবং এক হাজার ৩১২ জন হাসপাতালে, ৩০ অক্টোবর চারজনের মৃত্যু এবং এক হাজার ১৫৪ জন হাসপাতালে, ৩১ অক্টোবর সাতজনের মৃত্যু এবং এক হাজার ২৪৩ জন হাসপাতালে, ১ নভেম্বর তিনজনের মৃত্যু এবং ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬২ হাজার ১৯৯ জন। এরমধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৫৭ হাজার ৯৩৮ জন। মারা গেছেন ৩০০ জন।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান জানান, ডেঙ্গু এখন সিজনাল নেই, সারা বছরই হচ্ছে। বৃষ্টি শুরু হলে এটা বাড়ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা নিরোধক ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনে পক্ষ থেকে সব জায়গায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। একইসঙ্গে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর চৌধুরী বলছেন, মশানিধনে শুধু জেল-জরিমানা আর জনসচেতনতা বাড়িয়ে কাজ হবে না। সঠিকভাবে জরিপ চালিয়ে দক্ষ জনবল দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী আক্রান্ত এবং ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়।
আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর মনিটরিং করার জন্য এটা ব্যবহার করতে পারেন, এটি গুগল এনালাইটিক এর মত কাজ করে।