রোববার (৩ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, মারা যাওয়া ৪ জনের মধ্যে ২ জন পুরুষ, ২ জন নারী। তাদের মধ্যে একজন চট্টগ্রাম বিভাগের, একজন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের এবং দুজন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়াদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১১৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২১৪ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২৫৫ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ২৭৭ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১৪৪ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৫৪ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩১ জন, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৭ জন, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৭ জন এবং সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯ জন রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৩১৬ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছরে মোট ৬০ হাজার ৪৫ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি বছরের প্রথমদিন থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মোট ৩১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর এ সময়ে মশাবাহিত রোগটি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬৪ হাজার ৪৭১ জন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায়। ডিএসসিসিতে মশাবাহিত রোগটিতে চলতি বছর মোট ১৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
অন্যদিকে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি এই সময়ে বরিশাল বিভাগে ৩৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩১ জন, খুলনা বিভাগে ১৯ জন, ঢাকা বিভাগে ১৪ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৭ জন, রংপুর বিভাগে ২ জন ছাড়াও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকা এবং রাজশাহী বিভাগে একজন করে মোট দুজন ডেঙ্গুতে মারা গেছেন।
আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর মনিটরিং করার জন্য এটা ব্যবহার করতে পারেন, এটি গুগল এনালাইটিক এর মত কাজ করে।