সোমবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মৃতদের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের তিনজন, ঢাকা বিভাগে একজন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার চারজন, বরিশাল বিভাগে তিনজন এবং ঢাকা বিভাগে একজন এবং চট্টগ্রাম বিভাগের একজন বাসিন্দা রয়েছে।
আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার ৪০৭ জন রয়েছেন। এ ছাড়াও ঢাকা বিভাগে ৩৩৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৮৫ জন, বরিশাল বিভাগে ৮৯ জন, খুলনা বিভাগে ১৭১ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩৩ জন, রাজশাহী বিভাগে ৩৪ জন, রংপুর বিভাগে ৩৬ জন এবং সিলেট বিভাগে ৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ৬৫ হাজার ৭৬৮ জন। যাদের মধ্যে ৬৩ দশমিক ২০ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৬ দশমিক ৮০ শতাংশ নারী। এ ছাড়া এখন পর্যন্ত মৃত ৩২০ জনের মধ্যে ৫১ দশমিক ২০ শতাংশ নারী এবং ৪৮ দশমিক ৮০ শতাংশ পুরুষ।
প্রতি বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গেল বছর দেশে ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এর মধ্যে ঢাকায় ১ লাখ ১০ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ২ লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন ৩ লাখ ১৮ হাজার ৭৪৯ জন। গত বছর এক হাজার ৭০৫ জন মশাবাহিত এই রোগে মারা গেছেন, যা দেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ মৃত্যু।
এর আগে, ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময় চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর মনিটরিং করার জন্য এটা ব্যবহার করতে পারেন, এটি গুগল এনালাইটিক এর মত কাজ করে।