মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্প-হ্যারিসের ভাগ্য নির্ধারণ করছে এবার সাত সুইং স্টেট। অ্যারিজোনা, জর্জিয়া, মিশিগান, পেনসিলভেনিয়া, উইসকনসিন, নর্থ ক্যারোলিনা ও নেভাদা – এই সাত অঙ্গরাজ্যের মাত্র ৩শতাংশ ভোটারের মতামতের ওপরই নির্ভর করছে জয়-পরাজয়।
বিশ্লেষকরা জানান, অভিবাসন, গর্ভপাত, অর্থনীতি, গাজা যুদ্ধ, ইসরায়েল নীতির পাশাপাশি ভোটারদের ধরনে পার্থক্য- দুই প্রার্থীর জন্যই চ্যালেঞ্জিং।
ডেমোক্র্যাট কমলা হ্যারিস নাকি রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প- দুই প্রার্থীর হোয়াইট হাউসে যাওয়ার চূড়ান্ত লড়াই ৫ নভেম্বর। ৫০ অঙ্গরাজ্যে ২৪ কোটি ভোটার হলেও এবার প্রেসিডেন্ট পদে ট্রাম্প-হ্যারিসের ভাগ্য নির্ধারণ করছে সাত সুইং স্টেটের ভোটারদের মতামতের ওপর।
শেষ মুর্হূতে তাই এসব অঙ্গরাজ্যে ভোটারদের মন জয় করতে ব্যস্ত ট্রাম্প ও হ্যারিস।
ভাগ্য নির্ধারক এই সাত অঙ্গরাজ্য হলো- অ্যারিজোনা, জর্জিয়া, মিশিগান, পেনসিলভেনিয়া, উইসকনসিন, নর্থ ক্যারোলিনা ও নেভাদা।
এরমধ্যে মেক্সিকো সীমান্তের কাছের রাজ্য অ্যারিজোনায় মূল ফ্যাক্ট অভিবাসন নীতি ও গর্ভপাত অধিকার। অভিবাসন ইস্যুতে শক্ত অবস্থানের কারনে এ রাজ্যে ট্রাম্প হেরে যেতে পারেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকদের কেউ কেউ।
জর্জিয়া- ১৬ ইলেক্টরাল ভোটের এই রাজ্য- ট্রাম্পের জন্য অঘোষিত যুদ্ধক্ষেত্র। ২০২০ সালে এ রাজ্যে বাইডেনের কাছে সামান্য ব্যবধানে পরাজিত হন ট্রাম্প। এ অঙ্গরাজ্যে আফ্রিকান-আমেরিকান ভোটাররা মূল চ্যালেঞ্জ।
বাইডেনের ইসরাইল নীতি ও গাজা যুদ্ধের প্রভাব স্পষ্ট মিশিগানে। কমলা হ্যারিসের প্রতি আরব-আমেরিকানদের সমর্থন কমছে। এ অবস্থায় প্রচারণায় গাজা যুদ্ধ বন্ধে জোর দিয়েছেন কমলা। অন্যদিকে যুদ্ধ শেষ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ইতিবাচক অবস্থানে ট্রাম্পও।
এছাড়া নেভাদা ঐতিহ্যগতভাবে ডেমোক্রেটদের ঘাঁটি থাকলেও সাম্প্রতিক জরিপে রিপাবলিকানদের সমর্থন বাড়ছে। তবে নর্থ ক্যারোলিনায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস মিলেছে।
১৯টি ইলেকটোরাল ভোট নিয়ে পেনসিলভেনিয়া দুই প্রার্থীর জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। আর ঐতিহাসিকভাবে এবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বড় ভূমিকা রাখবে উইসকনসিন অঙ্গরাজ্য।
৫ নভেম্বর কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও কৌশলের মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত হবে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধান।
আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর মনিটরিং করার জন্য এটা ব্যবহার করতে পারেন, এটি গুগল এনালাইটিক এর মত কাজ করে।