দীর্ঘ ১০ বছর পর আওয়ামী সরকার আমলের, ২০১৫ সালের দেশব্যাপী বিএনপির অবরোধ আন্দোলন সময়কার একটি মামলা থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছেন বিএনপি নেতা, ছাত্রদলের প্রাত্তন কেন্দ্রীয় নেতা, ৯০’র স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের বীর সেনানী, সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সংগ্রামী সাংগঠনিক সম্পাদক, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী জননেতা মাহবুব চৌধুরী, বিএনপি থেকে পদত্যাগী নেতা,স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি এডভোকেট সামছুজ্জামান জামান, সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব সাকিল মুর্শেদ, সিলেট মহানগর বিএনপি নেতা, ছাত্রদলেরি সাবেক কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম নাচন, সিলেট মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক আবুল হুসেন, সুমন আহমদ, মাছুম আহমদ, নজরুল ইসলাম, রনেল দাস সহ প্রায় অর্ধশতাধিক নেতা কর্মি।
আজ বুধবার ২৭ নভেম্বর সিলেটের জননিরাপত্তা আদালত এ রায়ে খালাস ঘোষণা করেন।
আওয়ামিলীগ সরকার পতনের পর রাজনৈতিক হয়রানিরমূলক মামলা থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান থেকে শুরু করে তৃণমূলের অনেক নেতাকর্মীও ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে দায়ের করা মামলা থেকে খালাস পেতে শুরু করেছেন। ২০১৫ সালে দেশব্যাপী বিএনপির অবরোধ আন্দোলন চলাকালে এসএমপির কতোয়ালী থানা পুলিশ বিশেষ ক্ষমতা আইনে এ মামলা দায়ের করেছিল।
রায়ের পর এক প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি নেতা মাহবুব চৌধুরী বলেছেন, শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদ প্রতিষ্ঠায় বিচার বিভাগ অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে। গণমাধ্যমের একটি অংশও একই ভূমিকা রেখেছিল।
একটি গনতান্ত্রিক, সাম্য ও মানবিক মর্যাদার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারলে জুলাই গনঅভ্যুত্থানের শহীদদের রক্ত এবং আত্মত্যাগ প্রকৃত মর্যাদা পাবে।
বিরোধী দল-মত দমনে ‘মামলার জাল’কে বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার হাতিয়ার হিসেবে বেছে নেয়। আমাদের প্রায় ৬০ লাখ নেতাকর্মীর নামে-বেনামে দেয় দেড় লাখ গায়েবি মামলা। ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে বিচার বিভাগ থেকে অনেক অবিচার হয়েছে।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন একটা শাসনব্যবস্হা, নতুন ধারার রাজনীতি, সরকার প্রতিষ্ঠার চিন্তা করছে বিএনপি। প্রত্যেকে তার সামর্থ অনুযায়ী ব্যবসা করবে ও মেধার ভিত্তিতে চাকরি করবে সেরক একটি একটা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করাটাই বিএনপির লক্ষ।
আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর মনিটরিং করার জন্য এটা ব্যবহার করতে পারেন, এটি গুগল এনালাইটিক এর মত কাজ করে।