মানববন্ধনে বক্তারা পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে তৎকালীন সরকারের সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র হিসেবে বর্ণনা করেন। তাদের দাবি গুলো তুলে ধরে বক্তারা বলেন, এই ঘটনায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা সহ ৭৪ জন দেশপ্রেমিক বাংলাদেশী প্রাণ হারিয়েছেন। তবে প্রহসনের বিচারের মাধ্যমে হাজারো নিরপরাধ বিডিআর সদস্যকে জেলবন্দী করে রাখা হয়েছে। ১৮ হাজারের বেশি সদস্যকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, যা একটি চরম বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত। বক্তারা আরো বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে ভুক্তভোগী বিডিআর সদস্য ও তাঁদের পরিবার ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়ে সমাজে অবহেলা ও অবজ্ঞার শিকার হয়ে বেঁচে আছেন। প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করে শাস্তি নিশ্চিত করতে এবং নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার আহবান জানান বক্তারা।
মানববন্ধনে উপস্থিত একজন সাবেক বিডিআর সদস্য বলেন, আমাদের হারানো সম্মান ফিরিয়ে দিন। আমাদেরকে পুনরায় চাকরিতে বহাল করে দেশের সেবা করার সুযোগ দিন। এটি এখন ১৮ কোটি মানুষের দাবিতে পরিণত হয়েছে।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ভুক্তভোগী বিডিআর সদস্য, তাদের পরিবার ও সন্তান, জেলার সাধারণ জনগণ ও সাংবাদিকবৃন্দ।
মানববন্ধনের শেষ পর্যায়ে বক্তারা সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, যেন এই বৈষম্যমূলক পরিস্থিতি দ্রুত সমাধান করা হয়। তাঁরা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার অনুরোধ করেন। মানববন্ধনটি শান্তিপূর্ণভাবে সমাপ্ত হয়।
আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর মনিটরিং করার জন্য এটা ব্যবহার করতে পারেন, এটি গুগল এনালাইটিক এর মত কাজ করে।