তবে, তিনি যে ভিডিও পোস্ট করেন সেটি হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনার নয়, বরং সেটি ঢাকার তিনটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের দৃশ্য। এটি হিন্দু নির্যাতনের কোনো ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত নয় বলে জানা গেছে।
হিন্দুস্থান টাইমস বাংলার প্রতিবেদনে বলা হয়, শুভেন্দুর পোস্ট করা ভিডিওতে ৯-১০ সেকেন্ডে গিয়ে দেখা যাচ্ছে ফ্রেমের ওপর দিকে ভবনের নাম দেখা যায় ‘ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে’। ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয় ভিডিওর পরের অংশে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনা দেখানো হয়। চট্টগ্রামে মন্দির ভাঙার দৃশ্যও ছিল ওই পোস্ট করা ভিডিও, এমন দাবিও করে হিন্দুস্থান টাইমস বাংলা । যদিও পরে ভিডিও পোস্টটি মুছে ফেলেন শুভেন্দু।
এর আগে, সোমবার বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ও চট্টগ্রামের পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে করেন রাজ্যটির বিরোধী এ দলনেতা। বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর অত্যাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে পোস্টে করেন শুভেন্দু।
এতে তিনি লিখেছিলেন, ‘বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সনাতানি সম্প্রদায়ের উপর নিপীড়ন চলছে। হিন্দু মন্দিরে হামলা চলছে। হিন্দু নেতা ও সম্প্রদায়ের সোচ্চার সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হচ্ছে। হিন্দুদের উপর পুলিশের অত্যাচার ও হেফাজতে সহিংসতা হচ্ছে। হিন্দু আবাসিক এলাকায় উগ্র জনতার সহিংস আক্রমণ হচ্ছে। হিন্দু মালিকানাধীন দোকান লুট করা হচ্ছে। হিন্দু মালিকানাধীন সম্পত্তি ভাংচুর চলছে। এটিকে মানবিক সংকট উল্লেখ করে বাংলাদেশের হিন্দুদের প্রতি সকলের দৃষ্টি রাখার কথা বলেন তিনি। সেই সঙ্গে ওই ভিডিওটি পোস্ট করেন।
এদিকে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশিদের ভিসা প্রদান পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ করার দাবিও তুলেছেন শুভেন্দু। বাংলাদেশ সীমান্ত সনাতনীরা অবরোধ এবং কলকাতার বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভেরও হুমকি দেন তিনি। এর আগে, ‘মেডিক্যাল ভিসাও বন্ধ করার দাবি তুলে তিনি বলেন, চিকিৎসা নিতে করাচি, লাহোর যান, ভারতে না আসবেন না।’
আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর মনিটরিং করার জন্য এটা ব্যবহার করতে পারেন, এটি গুগল এনালাইটিক এর মত কাজ করে।