সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:০২ অপরাহ্ন

সিলেট স্টেডিয়ামে নাদেল সিন্ডিকেটের আধিপত্য, সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ

ডেস্ক রিপোর্ট / ১৯৭ মোট শেয়ার
হালনাগাদ : বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪
সিলেট স্টেডিয়ামে নাদেল সিন্ডিকেটের আধিপত্য, সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের চারপাশে আওয়ামী লীগের একচেটিয়া আধিপত্য গত ১৭ বছর ধরে অব্যাহত রয়েছে। এই আধিপত্যের কেন্দ্রে রয়েছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী সরকার হাসিনা পালিয়ে যাবার পরেও নাদেল সিন্ডিকেটের দাপট এবং তাদের নেটওয়ার্ক নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন ও আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ব্যবস্থাপনায় ভেন্যু ম্যানেজার হিসেবে রয়েছেন জয়দীপ দাস সুচুক। ৫ আগস্ট এর পরে তার বিরুদ্ধে মামলা ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ রয়েছে। তার সহকারী মনজ কান্তি এই ব্যবস্থাপনায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন। নিরাপত্তা ব্যবস্থার দায়িত্বে আছেন মোঃ ইকরাম চৌধুরী। মিডিয়া সংক্রান্ত বিষয়ে কাজ করছেন ফরহাদ কোরেশি এবং সৈয়দ কাবি। এসব দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের সমন্বয়ে নাদেল সিন্ডিকেটের কার্যক্রম আরও সুসংগঠিত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

প্রথম বিভাগের কোচ হিসেবে রানা মিয়া প্রথম বিভাগের ক্রিকেট টিমের কয়েকটি টিমের একক আধিপত্য ছিল। ফুর্চন গার্ডেনের মালিক জুয়েলও এই নেটওয়ার্কের অন্তর্ভুক্ত বলে অভিযোগ রয়েছে। সিলেট মহিলা ক্রিকেট টিমের সাবেক কোচ তপন মালাকারের বিরুদ্ধেও সিন্ডিকেটের সাথে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ উঠেছে। গ্রিন সিলেট নামক একাডেমির কোচ রিংকু, নাছির এবং কয়েকজনও এই সিন্ডিকেটের অংশ হিসেবে পরিচিত।

৫ আগস্টের পর শুকুর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এজাহারভুক্ত আসামি তিনি। ছাত্রলীগ নেতা সৈয়দ মুনাজিরও এই সিন্ডিকেটের অংশ বলে জানা যায়।

সিলেট স্টেডিয়ামক ঘিরে নাদেল সিন্ডিকেটের দাপট এবং তাদের কার্যক্রম নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে ক্রিকেট কোচিং ও অন্যান্য কার্যক্রম পর্যন্ত সিন্ডিকেটের প্রভাব সুস্পষ্ট। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সাধারণ মানুষের একমাত্র দাবি, স্টেডিয়ামের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা এবং সিন্ডিকেটের বেআইনি কার্যক্রম বন্ধ করা। প্রয়োজন হলে স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করে দোষীদের আইনের আওতায় আনার জন্য দাবি জানিয়েছেন অনেকে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু স্থানীয় বাসিন্দা জানান, আরেকজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “এভাবে যে সিন্ডিকেট স্টেডিয়ামের দখল নিয়ে রেখেছে, সেটা শুধু আমাদের জন্য নয়, সিলেটের খেলার মানের জন্যও ক্ষতিকর। আমাদের যুবকরা যে সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, সেটা সবাই জানে। আমরা চাই, প্রশাসন এই সিন্ডিকেটকে নিয়ন্ত্রণ করুক এবং সিলেটের উন্নতির জন্য সঠিক ব্যবস্থাপনা করা হোক।”

একজন তরুণ খেলা প্রেমী জানান, “এখানে যারা সিন্ডিকেটে জড়িত, তারা সাধারণ মানুষকে সুযোগ দেওয়ার পরিবর্তে তাদের নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করছে। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের তরুণ প্রজন্মের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে পড়বে। আমরা চাই, সিলেটের স্টেডিয়াম যেন আমাদের জন্য সঠিকভাবে ব্যবহৃত হয়, যাতে আমরা খেলাধুলায় নিজেদের প্রতিভা তুলে ধরতে পারি।”


এই বিভাগের আরো খবর