বইতে এইভাবে উল্লেখ করা হয়েছে: “পুলিশের অত্যাচারের বিরুদ্ধে রংপুরে ছাত্রনেতা আবু সাঈদ দুই হাত প্রসারিত করে দাঁড়িয়ে যান। পুলিশ তাকে খুব কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করে। এতে আন্দোলন সবার মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। সারা দেশের মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। বিশাল এক গণঅভ্যুত্থানের সৃষ্টি হয়।”
এরপর বইতে আরও বলা হয়: “ঢাকার উত্তরায় শিক্ষার্থী মীর মুগ্ধ আন্দোলনরত সবাইকে পানি বিতরণ করতে করতে নিহত হন। নিহত হন (গোলাম) নাফিজ, নাহিয়ান, আনাসসহ অগণিত প্রাণ। মায়ের কোলের শিশু, বাবার সাথে খেলতে থাকা শিশু, রিকশাওয়ালা, শ্রমিক, কৃষক, ফেরিওয়ালা, চাকুরিজীবী, মা, পথচারী কেউ বাদ যায় না। সারা দেশে হত্যা করা হয় হাজারো মানুষকে।”
এনসিটিবির সূত্রে জানা গেছে, বইয়ে উল্লেখিত নাফিজ, নাহিয়ান, এবং আনাস—এই তিন শহীদের মধ্যে ভুলভাবে নাহিয়ান নামটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বাস্তবে, তারা নাফিসা হোসেনের নাম অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা করেছিলেন।
এনসিটিবি কর্মকর্তারা জানান, নাফিসা হোসেন ছিলেন টঙ্গীর সাহাজউদ্দিন সরকার উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের এইচএসসি পরীক্ষার্থী, যিনি সাভারে বিক্ষোভ চলাকালে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের গুলিতে নিহত হন। এর পর, তারা নাহিয়ান নামে কাউকে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেননি।
এদিকে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নাহিয়ান নামে কেউ শহীদ হয়েছেন কিনা, তা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। তবে, একাধিক সূত্রে জানা যায়, শহীদদের মধ্যে এমন নামের কোনো ব্যক্তির উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এটি শিক্ষার্থীদের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাসের অংশ, তাই এমন ভুল সঠিকভাবে সংশোধন করা জরুরি।
আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর মনিটরিং করার জন্য এটা ব্যবহার করতে পারেন, এটি গুগল এনালাইটিক এর মত কাজ করে।