বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
ফিলিস্তিনি বার্তাসংস্থা ওয়াফা বুধবার বলেছে, কাতারের এই টিভি নেটওয়ার্কের উস্কানিমূলক প্রচারের কারণে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ সাময়িকভাবে আল জাজিরা টেলিভিশনের সম্প্রচারসহ ভূখণ্ডে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সংস্কৃতি, স্বরাষ্ট্র এবং যোগাযোগ মন্ত্রীরা যৌথভাবে আল জাজিরা বন্ধের এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কারণ তাদের দাবি, কাতারভিত্তিক এই চ্যানেলের সম্প্রচারের উপাদান প্রতারণামূলক এবং বিবাদকে বাড়িয়ে দিচ্ছে।
এদিকে আল জাজিরা বন্ধের এই আদেশে বলা হয়েছে, সিদ্ধান্তটি সাময়িক কিন্তু অস্থায়ী এই আদেশ কবে শেষ হবে সেই তারিখ নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ অবশ্য গত সপ্তাহে ইসরায়েলি-অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন ক্যাম্পে ফিলিস্তিনি নিরাপত্তা বাহিনী এবং সশস্ত্র যোদ্ধাদের মধ্যে সপ্তাহব্যাপী উত্তেজনার খবর কভারেজের জন্য আলজাজিরার সমালোচনা করেছিল।
একটি বিবৃতিতে বলা হয়, আলজাজিরা বুধবারের এই সিদ্ধান্তকে “অধিকৃত অঞ্চলে চলমান ঘটনা রিপোর্ট করা থেকে নিরুৎসাহিত করার একটি প্রচেষ্টা” বলে নিন্দা করেছে। এছাড়া ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার এবং পশ্চিম তীরে সাংবাদিকদের ভীতি ছাড়াই স্বাধীনভাবে রিপোর্ট করার সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে গণমাধ্যমটি।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে নিয়ন্ত্রণকারী দল ফাতাহ বলেছে, সম্প্রচারকারী এই সংস্থাটি (আল জাজিরা) “সাধারণভাবে আমাদের আরব মাতৃভূমি এবং বিশেষ করে ফিলিস্তিনে” বিভাজন তৈরি করছে। কাতারের এই টেলিভিশন নেটওয়ার্ককে সহযোগিতা না করার জন্য ফিলিস্তিনিদের উৎসাহিত করার কথাও জানিয়েছে ফাতাহ।
এর আগে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গত বছরের সেপ্টেম্বরে পশ্চিম তীরের রামাল্লাহ শহরে আলজাজিরার ব্যুরোতে হামলা চালায় এবং এটি বন্ধ করার নির্দেশ দেয়। তারও আগে ইসরায়েল গত বছরের মে মাসে একটি আদেশ জারি করে চ্যানেলটিকে দেশে (ইসরায়েলে) কার্যক্রম পরিচালনা ও সম্প্রচার নিষিদ্ধ করে। ইসরায়েল সেসময় বলেছিল, এটি (আর জাজিরা) ইসরায়েলি নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। পরে ইসরায়েলি আদালতও সেই নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখে।
আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর মনিটরিং করার জন্য এটা ব্যবহার করতে পারেন, এটি গুগল এনালাইটিক এর মত কাজ করে।