বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:০৫ পূর্বাহ্ন

এসএমপি পুলিশের অভিযানে সাড়ে নয় লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য আটক

ডেস্ক রিপোর্ট / ৩২ মোট শেয়ার
হালনাগাদ : শনিবার, ১১ জানুয়ারী, ২০২৫
এসএমপি পুলিশের অভিযানে সাড়ে নয় লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য আটক

সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) অভিযানে সাড়ে নয় লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য আটক করা হয়েছে।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) বিকেলে মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১০ জানুয়ারি রাত নয়টার দিকে শহরতলীর বটেশ্বর জালালাবাদ সেনানিবাস মসজিদ গেইট এলাকায় চেকপোস্টে মিনি পিকআপ ও একটি প্রাইভেটকারকে আটক করা হয়। গাড়িতে থাকা ৩ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি পালিয়ে যায়। এসময় প্রাইভেটকার, ভারতীয় থ্রি-পিস, ভারতীয় শাড়ি ও. মিনি পিকআপ আটক করা হয়।

এ ঘটনার শাহপরাণ (রহ.) থানার এসআই মো. সানাউল ইসলাম বাদি মামলা দায়ের করা হয়।

নগরীতে যত্রতত্র চার্জিং গ্যারেজ

সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে যত্রতত্র অবৈধ ব্যাটারীচালিত রিকশার চার্জিং গ্যারেজ। কোনো ধরনের নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই এসব অবৈধ গাড়ির চার্জিং গ্যারেজ গড়ে তোলেছেন অধিকাংশ ব্যবসায়ী। আর কোনো ধরণের মিয়ম নীতি না মানায় ঘঠছে দূর্ঘটনাও।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,

জানা গেছে, সাধারণত একটি ইজিবাইকের জন্য চার থেকে পাঁচটি ১২ ভোল্টের ব্যাটারি প্রয়োজন। আর প্রতি সেট ব্যাটারি চার্জের জন্য গড়ে ৯০০ থেকে ১১০০ ওয়াট হিসেবে পাঁচ থেকে ছয় ইউনিট (দিনে বা রাতে কমপক্ষে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা) বিদ্যুৎ খরচ হয়। সে হিসেবে জেলার প্রায় ৫০ হাজার ইজি বাইক বা ব্যাটারিচালিত রিকশা চার্জের জন্য জাতীয় গ্রিড থেকে প্রতিদিন অন্তত ৫৫ মেগাওয়াট এবং মাসে ১ হাজার ৬৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ খরচ হওয়ার কথা। কিন্তু ৮০ ভাগ গ্যারেজে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে এ সব ব্যাটারি রিচার্জ করায় সরকার প্রায় ১ হাজার ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তবে ভাড়া অন্যান্য যানের চেয়ে তুলনামূলক কম হওয়ার কারণে মূল শহরে এবং তার বাইরে এখন যাত্রীদের প্রধান বাহনে পরিণত হয়েছে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও রিকশা। আর এগুলোর বেশির ভাগ চালকই সামান্য অর্থের বিনিময়ে অবৈধভাবে বৈদ্যুতিক লাইন থেকে গাড়িগুলোতে চার্জ করিয়ে নিচ্ছেন। তারা এই গাড়িগুলো যে গ্যারেজে রাখছেন সে জায়গা থেকেই রাতভর একটি গাড়ির শুধু চার্জের জন্য গ্যারেজ মালিককে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা করে দিচ্ছেন।

সিলেট নগরীতে ট্রাফিক বিভাগের কাছে ব্য সংখ্যার কোনো পরিসংখ্যান না থাকলেও ধারণা করা হয় সিলেট নগরীতে পাঁচ উপজেলায় বর্তমানে কমপক্ষে ৫০ হাজারের বেশি অটোরিকশা চলাচল করছে। বিশেষ করে ব্যস্ত জেলা শহর, শিল্পাঞ্চল ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ ও বন্দর এলাকায় এর সংখ্যা অন্তত ৩০ হাজার।

জানা গেছে, ৮০ শতাংশ গ্যারেজেই নিষিদ্ধ এসব অটো বাইকের ব্যাটারি চার্জ করতে ব্যবহার করা হচ্ছে অবৈধ বিদ্যুৎ লাইন। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা, ডিপিডিসি, পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ, জেলা ট্রাফিক বিভাগ ও হাইওয়ে পুলিশকে নিয়মিত মাসোহারা দিয়ে সড়কে চলছে অটোরিকশা।

জানা গেছে, ২০১৮ সালে নারায়ণগঞ্জ শহর ও শহরতলীর বিভিন্ন স্থানে অটোরিকশার গ্যারেজগুলোতে অভিযান চালিয়ে অর্ধশতাধিক অটোরিকশার গ্যারেজের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্নের পাশাপাশি কোটি টাকার ওপরে জরিমানাও করেছে ডিপিডিসি ও টাস্কফোর্স। কিন্তু রহস্যজনক কারণে অভিযান থেমে গেছে। বেশ কয়েকটি এলাকার অটোরিকশা গ্যারেজে ঘুরে জানা গেছে, এসব গ্যারেজে ব্যাটারি চার্জ দিতে গিয়ে অনেক বিদ্যুৎ বিল দিতে হয়। যে কারণে গ্যারেজ মালিকরা খরচ কমিয়ে বাড়তি টাকা আয়ের জন্য অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে থাকে। তবে এসব অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়ার পেছনে রয়েছেন ডিপিডিসি ও পল্লী বিদ্যুতের অসাধু কর্মকর্তারা।

এ ব্যাপারে ডিপিডিসি ফতুল্লা জোনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাইন উদ্দিন জানান, ‘আমরা মাঝেমধ্যে অবৈধ বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছি। তবে শেষ কবে কোথায় অভিযান হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অভিযান একটি চলমান প্রক্রিয়া, এটি চলবেই।’ এ ব্যাপারে বন্দর পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম মিজানুর রহমানও একই কথা বলেন এবং একই প্রশ্নের সঠিক জবাব দিতে দিতে পারেননি। তবে সাধারণ মানুষের মতে, যেখানে বিদ্যুতের ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে সেখানে এই যানগুলোতে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ব্যবহার বিদ্যুতের অপচয় ছাড়া আর কিছুই না। বিদ্যুৎ বিভাগের উচিত স্পেশাল টাস্কফোর্সের মাধ্যমে এসব বিদ্যুৎ চুরি বন্ধ করা অথবা সরকারের বিশেষ প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে অটোরিকশার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা।


এই বিভাগের আরো খবর

আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর মনিটরিং করার জন্য এটা ব্যবহার করতে পারেন, এটি গুগল এনালাইটিক এর মত কাজ করে।