বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ০৫:২১ পূর্বাহ্ন

মায়ের হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তি নিশ্চিতে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা

ডেস্ক রিপোর্ট / ১১৮৭ মোট শেয়ার
হালনাগাদ : বৃহস্পতিবার, ১ আগস্ট, ২০২৪
মায়ের হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তি নিশ্চিতে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা

মায়ের হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তি নিশ্চিতে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা

শাহপরান (রহ.) থানা এলাকার মীর মহল্লায় বসতঘরে ঢুকে বৃদ্ধা মা ফাতেহা বেগমকে হত্যা, অগ্নিসংযোগ, মালামাল লুট, সন্ত্রাসী হামলা ও লুটপাটের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নিহত ফাতেহা বেগমের ছেলে মো. জোবেদ আহমদ শিমুল সহ তার পরিবারের সদস্যরা।

ভুক্তভোগী এই পরিবার সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সিলেট রেঞ্জের ডিআইজিসহ সিলেটের পুলিশ কমিশনারের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
হত্যাকান্ডের শিকার মো. আনছার আলীর স্ত্রী ফাতেহা বেগমের পরিবার ও আক্রান্তাদের পক্ষ থেকে শাহপারান (রহ.) থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এর মধ্যে মো. আনছার আলীর ছেলে জোবেদ আহমদ শিমুল তার মাকে হত্যা, বাড়ীর লোকজনকে অমানিবক নির্যাতন, বসতঘর ভাংচুর, বাড়ীর জিনিসপত্র পুড়ানো ও লুটপাটের অভিযোগ এনে বহর কলোনীর বাসিন্দা রিপন গাজী, শিপলু গাজী, বাবলা, কাজী জায়েদ, সাইফুল ইসলাম, মানিক, হুমায়ুন, কামরুল, আক্তারসহ ২৩ জনের নামোল্লেখ করে এবং ৫০/৬০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে ১৬ জুলাই শাহপারান (রহ.) থানায় মামলা করেন। মামলা নং ১৪।

অপরদিকে মো. সামাদ আহমদ তার মালিকানাধীন মীর মহল্লা গলির মুখে অবস্থিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তিন ভাই এন্টারপ্রাইজ নামক দোকানে ১২ জুলাই রাত ৮টার দিকে হামলা, ভাংচুর ও ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ এনে রিপন গাজী, বিল্লাল মুন্সী ও বালু জাহাঙ্গীর সহ ৩২জনকে আসামী করে ১৭ জুলাই একটি মামলা দায়ের করেন। শাহপরান (রহ.) থানায় মামলা নং ১৭।

মামলা ও ভূক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সামাদ আহমদের কিশোর ছেলে সামসুল হক ও প্রতিপক্ষ আব্দুল আজিজের ছেলে আবদুল হালিম মোবারকের মধ্যে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয়। এর প্রেক্ষিতে আব্দুল আজিজের পক্ষের লোকজন বহরকলোনীর মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে মারাত্মক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘবদ্ধভাবে মীর মহল্লা এলাকার শিমুল, বদরুছ মিয়া, নুরু মিয়া, সামাদ আহমদ, সাহেল মিয়া ও পিয়ারা বেগমের ঘরে অতর্কিত হামলা ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। তাদের হামলায় মারা যান ফাহেতা বেগম। গুরুতর আহত হন আরো ৫জন। সন্ত্রাসীদের তান্ডবে প্রায় ৯ লাখ ৭০ হাজার ৫০’শ টাকার ক্ষতি ও ৫ লাখ ৭২ হাজার টাকা মালামাল লুটপাট করা হয়। খুনীদের ফাঁসির দাবিতে এলাকাবাসী মানববন্ধন সহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করেন।

কিন্তু ঘটনার ২০ দিন অতিবাহিত হলেও এখনও মূল আসামীরা রয়ে গেছে ধরাছুঁয়ার বাইরে। তারা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করলেও ধরা পড়ছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে। অভিযোগ উঠেছে তারা উল্টো প্রতিপক্ষকে নানা হুমকি-ধামকি প্রদর্শন করছে। শুধু তাই নয়, আসামী বাদী পক্ষের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার ও মামলা দিয়ে খুনের ঘটনা আড়াল করার চেষ্টা করছে। এ অবস্থায় চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছেন। নিহত ফাতেমা বেগমের পরিবারের সদস্যরা। তারা দ্রুত আসামীদের গ্রেফতার ও শাস্তি প্রদান করে তাদের জানমাল রক্ষার জন্য প্রশাসনের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, আধিপত্য বিস্তার ও জায়গা জমি দখলকে কেন্দ্র করে ২০০২ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত ফাতেহা বেগমসহ ৫জন খুন হন। এলাকাবাসী প্রভাবশালী এই মহলের জুলুম অত্যাচার বন্ধে সরকারের সাহায্য কামনা করেছেন।


এই বিভাগের আরো খবর