শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) গোয়াইনঘাট থানায় পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. বদরুল হুদা বাদী হয়ে একটি এবং গত বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সিলেটের পরিবেশ আদালতে পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. মামুনুর রশিদ ২২ জনকে আসামি করে আরেকটি মামলা করেন। দুই মামলায় মোট আসামি ১১৪ জন।
পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. বদরুল হুদা বলেন, গণমাধমে প্রকাশিত প্রতিবেদন, স্থানীয় প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিবেদনের আলোকে লুটপাটকারীদের চিহ্নিত করে মামলা করা হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলা প্রশাসনের সর্বশেষ ২৬ জুলাইয়ের পরিমাপ অনুযায়ী জাফলংয়ে পাথর মজুদ ছিল তিন কোটি ৭৪ লাখ ঘনফুট। ৫ আগস্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনুপস্থিতিতে লুটপাটে প্রায় এক কোটি ঘনফুট পাথর চুরি করা হয় ।
ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পাহাড়ের পাদদেশে বাংলাদেশের ডাউকি-পিয়ান নদের মিলনস্থলে জাফলংয়ের অবস্থান। বিখ্যাত পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে ব্যাপক পরিচিতির পাশাপাশি বালু-পাথর সম্পদেরও আধার জাফলং। বালু-পাথর আহরণে পারিবেশের ক্ষতি হওয়ায় বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১৫ সালে জাফলংকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) ঘোষণা করা হয়েছিল। বালু-পাথর উত্তোলনে ইজারা বাতিল করায় ডাউকি-পিয়ান নদের মোহনায় কয়েক স্তরে হাজার হাজার ঘনফুট পাথর জমেছিল ।
এ বিষয়ে জানতে মামলার প্রধান দুই আসামি শাহপরান ও স্বপনের মোবাইলে ফোন দিলেও রিসিভ করেননি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে, মামলার দুই আসামি দাবি করেন, মামলায় পাথর লুটপাট ঠেকাতে ঘটনাস্থলে না থাকা ব্যক্তিদেরও আসামি করা হয়েছে।
তারা বলেন, শাহ আলম স্বপন উপজেলা নির্বাচন করতে গিয়ে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত হন। তিনি ৫ আগস্ট পাথর লুট ঠেকাতে গিয়েছিলেন।
অপরদিকে লুটপাটে অংশ নিয়েছিলেন বিএনপির আরেক বহিষ্কৃত নেতা শাহ পরাণ।