হারানো বিজ্ঞপ্তি, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, আইনগত বিজ্ঞপ্তি, নিলাম বিজ্ঞপ্তি, এফিডেভিট, শুভেচ্ছা অভিনন্দন সহ আপনার প্রতিষ্ঠানের যেকোন বিজ্ঞাপনের জন্য আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন, প্রচারে প্রসার প্রচারের জন্য আমরা, যোগাযোগের ঠিকানাঃ- সৈয়দ সাইফুল ইসলাম নাহেদ মোবাইলঃ ০১৭১২-০৪৫৩৯১
সিলেটের চাকরির খবর ডেস্ক:- ২০০৮ সালে প্রথম আইপিএলে ঝড় তুলেছিল ‘স্ল্যাপগেট’ কাণ্ড। শ্রীশান্তকে মারা হরভজন সিংহের চড় নিয়ে উত্তাল হয়েছিল ক্রিকেটমহল। সেই ঘটনা নিয়েই মুখ খুললেন শ্রীশান্ত। দাবি করলেন, হরভজনের যাতে শাস্তি না হয়, তার জন্য তদন্ত কমিটির কাছে কেঁদে ফেলেছিলেন তিনি।সে বারের আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স হেরে গিয়েছিল কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের কাছে। সেই পরাজয়ের যন্ত্রণা উসকে দিয়েছিল শ্রীশান্তের মন্তব্য।
হরভজনকে উদ্দেশ করে শ্রীশান্ত বলেছিলেন, পাঞ্জাব বোম্বে কো হারায়েঙ্গে, পাঞ্জাব বোম্বে কো হারায়েঙ্গে। এর প্রতিক্রিয়া হিসেবেই হরভজন মারেন চড়। শ্রীশান্তের কান্নায় ভেঙে পড়া মুখের সেই ছবি ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র।
শ্রীশান্ত বলেন, ব্যাপারটা মিটিয়ে ফেলেছিলাম। এর জন্য কৃতিত্ব প্রাপ্য শচিনের। শচিন বলেছিল, তোমরা তো একই দলে খেলো। আমি বলেছিলাম, একদম ঠিক, নিজে গিয়ে দেখা করব। আমরা দেখা করেছিলাম, ওই রাতে একসঙ্গে নৈশভোজেও গিয়েছিলাম। কিন্তু মিডিয়া বাড়াবাড়ি করে ফেলল ঘটনাটা নিয়ে।
ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড এই ঘটনার তদন্তের জন্য সুধীন্দ্র নানাবতীকে নিয়োগ করে। শ্রীশান্তের কথায়, নানাবতী স্যারের সামনে গিয়ে আমি আক্ষরিক অর্থেই কেঁদে ফেলেছিলাম। অনুনয় করেছিলাম, ভাজ্জিকে যেন নির্বাসন বা অন্য শাস্তি না দেওয়া হয়। আমাদের তো একই দলে আগামী দিনে খেলার কথা ছিল। ভাজ্জি হল ম্যাচ উইনার, ভারতের হয়ে হ্যাটট্রিক করেছিল। চাইনি ওর কোনও ক্ষতি হোক। আমি মাত্র খেলা শুরু করেছিলাম। ভাজ্জির সঙ্গে থেকে ম্যাচ জেতানোই ছিল আমার লক্ষ্য। নিজের দাদা হিসাবে ভাবতাম ওকে। আমার কান্নার ভিডিও করা হয়েছিল। চাইলে নানাবতী স্যারের কাছে চাইতে পারেন আপনারা।
হরভজনের সঙ্গে সম্পর্ক কেমন এখন? শ্রীশান্ত বলেছেন, ভাজ্জির সঙ্গে সম্পর্ক একেবারে ঠিকঠাক। ও অনেক বদলে গিয়েছে। আমিও বদলেছি। আর ও তো প্রকাশ্যেই বলেছিল, ‘শ্রী, তুই যেখানেই তাকিস না কেন, মাফ করে দিস।’ হরভজন বরাবরই ছিল আমার দাদার মতো। হয়তো ওই সময়ে ব্যাপারটা অন্য রকম ছিল। কিন্তু ও বরাবরই কিংবদন্তি।
সিলেটের চাকরির খবর / তানজিনা বেগম