বুধবার (৮ মে) এই তথ্য নিশ্চিত করে বাঁধন বলেন, আমি আসলে অনেক দিন ধরেই ভাবছিলাম, যে গল্পটা আমি বলতে চাই, দেখতে চাই, সেটা যদি বলতে পারতাম! যেহেতু আমি লেখক নই, আবার পরিচালনাকে আমার কাছে খুব কঠিন কাজ মনে হয়। তো একবার দিতি আপুর কবর জিয়ারত করতে যাওয়ার সময় লামিয়ার সঙ্গে গাড়িতে বসেই আলাপ হয়। ওর গল্পটা আমাকে জানায়। ওই মুহূর্তেই আমি ওকে বলেছিলাম, কাজটি করতে চাই। কারণ, আমি একজন নারী লেখক-নির্মাতাকেই খুঁজছিলাম মনে মনে।
এরকম গল্প-নির্মাতার জন্যই অপেক্ষায় ছিলেন বাঁধন। তার ভাষ্য, মিডিয়াতে নারীদের দৃষ্টিকোণ থেকে গল্প বলার জায়গাটা খুব কম। এ কারণেই আমি ভেবে রেখেছি, যখন নিজের প্রযোজনায় কিছু করবো, সেটা যেন নারীদের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা গল্প হয়। এই গল্পটা খুবই ইন্টারেস্টিং। আমি শুনেই মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। লামিয়াও খুশি মনে রাজি হয়ে যায়।
অন্যদিকে লামিয়া জানালেন, বছর দশেক আগে এই ছবিটির কথা তিনি তার মা দিতিকে বলেছিলেন। তিনি ছবিটি প্রযোজনা এবং এতে অভিনয় করবেন বলেও কথা দিয়েছিলেন। কিন্তু ২০১৬ সালে দিতির মৃত্যুর কারণে সব থমকে যায়।
লামিয়া বলেন, আমি আসলে পুরোপুরি হাল ছেড়ে দিয়েছিলাম। কারণ, আমাদের ইন্ডাস্ট্রির পরিস্থিতিও খুব বাজে। কিন্তু বাঁধন আপু আমাকে সাহস দিয়েছেন, আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছেন। আমরা দুজন মিলে ছবিটি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এরই মধ্যে আমার চিত্রনাট্য লেখার কাজ শেষ হয়ে গেছে।
মেয়েদের গল্পতে কে অভিনয় করবেন? সে বিষয়টি অবশ্য লামিয়া কিংবা বাঁধন কেউই প্রকাশ করেননি। তবে বাঁধন জানান, ইতোমধ্যে ছবির প্রযোজকও প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গেছে। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরই ছবিটির কাজ সেরে ফেলতে চান তারা। নির্মাণ শেষে এটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে। এরপর কোনো ওটিটি প্ল্যাটফর্মে আসতে পারে।
আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর মনিটরিং করার জন্য এটা ব্যবহার করতে পারেন, এটি গুগল এনালাইটিক এর মত কাজ করে।