বৃহস্পতিবার প্রায় ১২ বছর পর মামলার বিচার কাজ শেষে ওই মামলার রায় হয়েছে। রায়ে আজিজুল ইসলাম চৌধুরীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।
মামলা সূত্র জানায়, পৈতৃক জায়গা-জমির বিরোধ নিয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন আজিজুল ইসলাম চৌধুরী। সেই সুবাদে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিভিন্ন সময় একাধিকবার ধর্ষণ করেন। পরে পুলিশ কর্মকর্তা ভুক্তভোগীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।
২০১১ সালের ৯ মে আজিজ তার মোবাইলে বলেন- ‘তুমি আমাকে ভুলে যাও।’ পরে ২০১১ সালের ১২ মে সিলেট উপ-মহাপরিদর্শক (সিলেট পুলিশ রেঞ্জ) ও ২০১২ সালের ৯ মে আইজিপি বরাবর অভিযুক্ত আজিজুলের বিরুদ্ধে লিখিত আবেদন করেন।
সাজাপ্রাপ্ত আজিজুল ইসলাম চৌধুরীর বাড়ি হবিগঞ্জ জেলা সদরে। তিনি ২০১২ সালে সুনামগঞ্জের ছাতক থানার এসআই হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তখনই ওই ঘটনা ঘটেছিল। সুনামগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) রোকনুজ্জামান যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের এ আদেশ দেন। রায়ের সময় আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে সুনামগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিপি নান্টু রায়।
এ ঘটনায় ছাতক থানায় ২০১২ সালের ৮ আগস্ট আজিজকে আসামি করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন; কিন্তু ওই থানার ওসি তার অভিযোগটি আমলে না নিয়ে নানা টালবাহানা শুরু করেন। পরবর্তীতে ন্যায়বিচারের জন্য আদালতে যান ভুক্তভোগী। ওই নারী ২০১২ সালের ১০ সেপ্টেম্বর আজিজুর রহমানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলার পর আজিজুর রহমানকে প্রথমে সাময়িক ও পরে স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়।
তিনি বলেন, সুনামগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) রোকনুজ্জামান যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন।