টিসিবির কার্ড নিয়ে বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষ
চুয়াডাঙ্গায় টিসিবি ও ভিজিএফের কার্ড বিতরণকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় রফিকুল ইসলাম রফিক (৫০) নামে বিএনপির এক নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ১২ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (৮ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গার তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
রফিকুল ইসলাম রফিক চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ গ্রামের মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে। তিনি তিতুদহ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, টিসিবি ও ভিজিএফের কার্ড ভাগাভাগি নিয়ে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মিলন গ্রুপ ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফিক গ্রুপের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ দ্বন্দ্ব নিরসনে শনিবার সকালে ইউনিয়ন পরিষদে আলোচনায় বসেছিলেন দুই পক্ষের নেতাকর্মীরা। এ সময় প্রতিপক্ষ গ্রুপের লোকজন ধারালো অস্ত্র নিয়ে রফিকসহ তার সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। এরপরই উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরে ধারালো অস্ত্রের এলোপাতাড়ি কোপে ঘটনাস্থলেই ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রফিক নিহত হন। আহত হয়েছেন রফিকের ভাই শফিকসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১২ জন।
দর্শনা থানা বিএনপির সভাপতি খাজা আবুল হাসনাত জানান, বিএনপি একটি বড় দল। এখানে নেতৃত্বের লড়াই থাকবে, মতভেদ থাকবে। তাই বলে কাউকে মেরে ফেলতে হবে এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে অবশ্যই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কনক কুমার দাস জানান, দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে সংঘর্ষের মূল কারণ উদঘাটনে থানা পুলিশ ও ডিবি টিম কাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।